হাদীছ নং ৮২৫
আবু হুরাইরা (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সঃ)কে বলতে শুনেছেন,আমরা(দুনিয়ায় আসার ব্যাপারে) পিছনে। কিন্তু কেয়ামতের দিনে আমরা থাকব সামনে।ব্যতিক্রম এতটুকু যে তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পুর্বে।তারপর এটা হল তাদের সেদিন যেদিন ইবাদত করা তাদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল।এটা নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল;কিন্তু আল্লাহ আমাদেরকে হেদয়েত দান করেছেন।কাজেই লোকেরা এক্ষেত্রে আমাদের পশ্চাদবর্তী;ইয়াহুদীদের আগামীকাল(শনিবার)এবং খৃষ্টানদের হল আগামী পরশু(রবিবার)
হাদিছ নং ৮২৬
হযরত আবদুল্লা ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্নিত ।রাসুলুল্লাহ (স)বলেছেন তোমাদের কেউ জুমার নামায পড়তে আসলে তার পুর্বে গোসল করে নেয়া উচিত।
হাদিছ নং ৮২৭
হযরত আবদুল্লা ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্নিত । হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় নবী করিম (স) এর প্রথম যুগের মুহাজির সাহাবীদের এক ব্যাক্তি (মসজিদে) উপস্থিত হলেন।ওমর (রা) তাকে বললেন,
এটা কি নামাযে আসার সময় ? তিনি জবাব দিলেন,আমি এক কাজে আটকা পড়েছিলাম,এজন্য গৃহেও ফিরে যেতে পারিনি। এমনি সময় আযান শুনে শুধু অযু করে নিলাম। ওমর (রা) বললেন শুধুই অযুই করলেন অথচ আপনি জানেন যে রাসুলুল্লাহ (ছ) গোসল করতে বলতেন।
হাদিছ নং ৮২৮
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্নিত।রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন,জুমার দিন প্রত্যেক বালেগ এর গোসল করা ওয়াজিব।
হাদিছ নং ৮২৯
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে,রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,জুমআর দিন প্রত্যেক বালেগ ব্যাক্তির গোসল, মেসওয়াক এবং পাওয়া গেলে সুগন্ধী ব্যবহার করা ওয়াজিব।আমর ইবনে সুলাইম বলেন,গোসল সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তা ওয়াজিব।তবে মেসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহার কিনা তা আল্লাহই ভাল জানেন; কিন্তু হাদিছে এরুপই আছে।
হাদিছ নং ৮৩০
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত।রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, জুমআর দিন যে ব্যাক্ত জানাবাত হতে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করে এবং নামাযের জন্য রওনা হয় সে যেন একটি উট কোরবানী করল। যে ব্যাক্তি তার পরক্ষনে গমন করে সে যেন একটি গাভী কোরবানী করল। যে ব্যাক্তি তার পরক্ষনে গমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানী করল। যে ব্যাক্তি তার পরক্ষনে গমন করে সে যেন একটি মুরগী কোরবানী করল। এবং (যে ব্যাক্তি তারপর অর্থাত) পঞ্চমক্ষনে গমন করে সে যেন (আল্লাহর পথে)একটি ডিম দান করল। অতএব ইমাম যখন খুতবা দেওয়ার জন্য বের হন তখন যিকির শুনার জন্য উপস্থিত হন।
হাদিছ নং ৮৩১
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ)কতৃক বর্নিত। ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) এক শুক্রবার বক্তৃতা দিচ্ছিলেন,এমন সময় এক ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল।ওমর(রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন,নামাযে যথসময়ে আসতে তোমাদের বাধা হয় কেন? সে ব্যাক্তি বলল আযান শুনার সাথে সাথেইত আমি অযু করেছি (এবং রওয়ানা হয়েছি)। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, তোমরা কি নবী করিম (সঃ) কে এটা বলতে শুননি যে, যখন তোমাদের কেউ জুমআর নামাযের জন্য রওনা হয়, তখন সে যেন গোসল করে নেয়।
হাদীছ নং ৮৩২
হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) হতে বর্নিত।তিনি বলেন, নবী করিম (সঃ) বলেছেন,যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে ও সম্ভবমত পবিত্রতা অর্জন করে এবং নিজের তেল হতে তেল ব্যবহার করে,অথবা নিক গৃহের সুগন্ধি হতে সুগন্ধি ব্যবহার করে।
তারপর (নামাযের জন্য)বের হয় এবং কাতারে উপবিস্ট দুজন ব্যাক্তির মধ্যে ফাঁক না করে।অতপর তার তকদীর অনুযায়ী নামায আদায় করে।আর ঈমামের খুতবা দেওয়ার সময় নিরব থাকে।তার সে জুমা হতে পরবর্তী জুম'আ পর্যন্ত সময়ের সকল গুনাহ মার্জনা করা হয়।
হাদীছ নং ৮৩৩
হযরত তাউস (রাঃ)কতৃক বর্নিত।তিনি ইবনে আব্বাস (রা)এর নিকট বললেন যে,লোকেরা বলে নবী করীম (সঃ) বলেছেন,
জুমার দিন গোসল কর এবং মাথা ধুয়ে ফেল- যদি তোমরা জানাবত দ্বারা অপবিত্র না হয়ে থাক আর সুগন্ধী ব্যবহার কর।িবনে আব্বাস বললেন গোসলত ঠিকই আছে কিন্তু সুগন্ধি সম্পর্কে আমার জানা নেই।
হাদীছ নং ৮৩৪
হযরত তাউস (রাঃ)কতৃক বর্নিত। তিনি ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ননা করেছেন যে,তিনি নবী (ছ) এর জুমার দিনের গোসল সংক্রান্ত বানী উল্লেখ করলে আমি ইবনে আব্বাস কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি যখন ঘরের লোকজনের মধ্যে অবস্থান করেছেন তখন ও তিনি সুগন্ধি বা তেল ব্যবহার করেছেন? তিনি বললেন আমি তা জানিনা।
হাদীছ নং ৮৩৫
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্নিত।তিনি বলেন,হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) মসজিদে নববীর দরজার নিকট এক জোড়া রেশমী পোশাক (বিক্রি হতে) দেখে রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে বললেন,হে আল্লার রাসুল!কতই না ভাল হত যদি আপনি তা ক্রয় করতেন এবং জুমার দিন ও প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতের পরিধান করতেন।রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন,ওটা কেবল সে ব্যক্তি পরিধান করে, যার পরকালে কোন অংশ নেই। এর পর রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট এ ধরনের কয়েক জোড়া পোশাক আসল এবং এর একটি তিনি ওমর কে দিলেন। ওমর (রাঃ) বললেন, হে আল্লার রাসুল!আপনি আমাকে তা পরতে দিলেন অথচ আপনি রেশমী পোশাক সম্বন্ধে বলেছিলেন,এটা পরিধানকারীর জন্য পরকালে কোন অংশ নেই।তখন রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন,আমি তোমাকে তা নিজের পরতে দেইনি। ওমর (রাঃ) তাঁর মক্কার জনৈক মুশরিক ভ্রাতাকে তা দান করলেন।
 
 
 
