Open in alternate window

কিতাবুল সাওম (300-317)

হাদীছ নং ১৭৫৭

হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।একদা জৈনক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর নিকট আসল।তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো,বিক্ষিপ্ত।সে বলল, হে আল্লার রাসুল!আমাকে বলুন,আল্লা আমার উপর কত ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন? তিনি বললেন পাঁচ ওয়াক্ত নামায;কিন্তু তুমি যদি নফল নামায পড় তবে তা স্বতন্ত্র।লোকটি বলল,আমাকে বলুন,আল্লাহ আমার উপর কতটি রোজা ফরয করেছেন? তিনি বললেন, সমস্ত রমযান মাস রোযা রাখা ফরয;কিন্তু তুমি যদি নফল রোযা রাখ তবে তা স্বতন্ত্র। লোকটি আবার বলল,আমাকে বলুন,আল্লাহ আমার উপর কি পরিমান যাকাত ফরয করেছেন?এবার রাসুলুল্লাহ(সঃ)ইলামের (সম্ভবত ইসলামের)রীতিনীতি ও বিধিবিধান জানিয়ে দিলে সে বলল,সেই মহান সত্বার শপঠ,যিনি আপনাকে সত্য বিধান দিয়ে সম্মানিত করেছেন। আল্লা আমার উপর যা ফরয করেছেন,আমি তার অধিকও কিছু করবনা আর কমও কিছু করবনা।লোকটির উক্তি শুনে রাসুলুল্লা(সঃ) বললেন,সে সত্য বলে থাকলে সাফল্য অর্জন করল অথবা বললেন,(রাবীর সন্দেহ)সে সত্য বলে থাকলে বেহেশ্ত লাভ করল।
হাদীছ নং ১৭৫৮

হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন , নবী করীম (সঃ) আশুরার রোজা রেখেছেন এবং অন্যদের কে রাখতে আদেশ করেছেন। তারপর রমজানের রোজা ফরয করা করা হলে আশুরার রোজা রাখা ছেড়ে দেয়া হয়। আর অভ্যাস মত রোযা রাখার দিন না হলে আবদুল্লাহ(ইবনে ওমর) আশুরার রোজা রাখতেন না। অবশ্য আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কয়েকটি তারিখে রোজা রাখতেন। এতে আশুরার দিন পরে গেলে তিনি আশুরার নিয়ত করে রোজা রাখতেন।